মানিকগঞ্জের কাঁচামরিচ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে যাচ্ছে

রপ্তানি হচ্ছে মানিকগঞ্জের কাঁচা মরিচরপ্তানি হচ্ছে মানিকগঞ্জের কাঁচা মরিচ

মানিকগঞ্জের কাঁচামরিচ যাচ্ছে বিদেশে।

মানিকগঞ্জের কাঁচামরিচ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে। রপ্তানিকারকরা এতে লাভবান হলেও উৎপাদনকারী মরিচচাষিরা লাভ গুনতে পারছেন না।<>
জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অফিস জানায়, জেলার শিবালয় ও হরিরামপুর ও ঘিওর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মরিচ চাষ হয়। উর্বর মাটির কারণে এ অঞ্চলে মরিচের আবাদ হয় বেশি, ফলনও ভাল। কৃষকরা প্রতিদিনই ক্ষেত থেকে মরিচ তুলে বাজারে বিক্রি করছে। মরিচ বিক্রির জন্য শিবালয় উপজেলায় বরংগাইল ও হরিরামপুর উপজেলায় ঝিটকা এবং ঘিওর উপজেলার বাঠুইমুড়ি হাট বিখ্যাত। প্রতিদিন ওই তিনটি হাটে শত শত মণ মরিচ বিক্রি করে কৃষকরা। বর্তমানে প্রতি কেজি মরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। পাইকাররা এসব মরিচ অল্প দামে কিনে বাছাই করে ভালমানের মরিচ কাগজের বাক্সে প্যাকেটজাত করে। আর ওইসব প্যাকেটের শত শত মণ মরিচ ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে লন্ডন, দুবাই, মালয়েশিয়া, কুয়েত, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে চলে যায়। এছাড়া, মানিকগঞ্জ থেকে ব্যবসায়ীরা মরিচ ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে আরো চড়া দামে বিক্রি করছে। কৃষকরা জানান, বিদেশে এসব মরিচ চড়া দামে বিক্রি হলেও উৎপাদনকারী কৃষকরা এর ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। এক শ্রেণীর মুনাফা লোভী মধ্যস্বত্বভোগী কম দামে কৃষকদের কাছ থেকে মরিচ কিনে নেয়। আর বিদেশে রপ্তানির বিষয়ে কৃষি বিভাগ কিংবা সরকারের সঠিক কোন নিয়মনীতি নেই।
শিবালয় উপজেলার কৃষক জালাল মিয়া জানান, লাভের আশায় প্রতি বছরই মরিচের চাষাবাদ বেশি করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে ফলনও ভাল হচ্ছে। কিন্তু হাটে পাইকাররা সঠিক দাম দিয়ে মরিচ কিনছে না। এখান থেকে ৫০ টাকা কেজি কিনে তারা ঢাকায় বিক্রি করছে ১০০ টাকায়। তিনি আরো জানান, সরকারিভাবে মরিচের একটা দাম নির্ধারণ করা হলে কৃষকরা সঠিক দাম পেতো। ঘিওরের রাধাকান্তপুর গ্রামের মুন্নাফ মোল্লা এ বছর এক বিঘা জমিতে মরিচের চারা রোপণ করেছেন। সাত মণ মরিচ বিক্রি করেছেন আট হাজার ৫০০ টাকায়।
হরিরামপুর উপজেলার কালোই গ্রামের আজাদুর রহমান জানান, এ বছর দুই বিঘা জমির মরিচ বিক্রি করেছেন। ফলন বেশি হয়েছে। দামও ভালো পাওয়ায় তিনি বেশ খুশি।
বরঙ্গাইল মরিচের হাট থেকে প্রতিদিন সাত থেকে ৮ টন মরিচ বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানালেন হাটের আড়তদার মো. খোকন মিয়া। বললেন, এর একটা বড় অংশ বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। তিনিও মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য তিন টন মরিচ কিনেছেন।
মো. ফরমান শেখ নামের আরেক আড়তদার জানান, তিনি ৬০ টাকা কেজি দরে এক টন মরিচ কিনেছেন। সেই মরিচ পাঠাবেন কুয়েতে। এতে তার যাতায়াত ভাড়াসহ প্রতি কেজি মরিচে এক থেকে দুই টাকা লাভ হবে বলে জানান।
ব্যবসায়ী জসিম মিয়া জানান, জেলার ঘিওর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলা মরিচ চাষের জন্য বিখ্যাত। এ অঞ্চলে উৎপাদিত বিন্দু জাতের মরিচের বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ মরিচ বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরো বেশি পরিমাণ মরিচ বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।
সুত্রঃ মানব জমিন

আপনার কৃষি সহায়তা আপনার এলাকাতেই।
কৃষি, মৎস্য চাষ, পোল্ট্রি, গবাদি পশু পালন, এবং পশু পাখির প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কিত যত তথ্য, জিজ্ঞাসা, কখন কোথায় কি হচ্ছে, কোন ঋতুতে কি ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব, কি কি ধরনের পূর্ব সতর্কতা নিতে হবে প্রভৃতি সকল বিষয়ে আমারা চেষ্টা করব আপনাদের জানাতে। আপনারাও পছন্দ মত বিষয়ে জানতে চাইতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব স্থানীয় ভাবে বিশেষজ্ঞ সহায়তা প্রদান করতে।
আপনাদের একজনের অংশগ্রহণই হয়ত অন্যজনকে সাহায্য করবে কৃষি সফল খামারি হতে।
ধন্যবাদ