খামারিদের ঋণ প্রাদানে উৎসুক ব্যাংক

খামারিদের ঋণ প্রাদানে উৎসুক ব্যাংকখামারিদের ঋণ প্রাদানে উৎসুক ব্যাংক

খামারিদের ঋণ প্রাদানে উৎসুক ব্যাংক।

দুধের চাহিদা পূরণে খামারিদের ঋণ মাত্র ৫ শতাংশ সুদে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য ২০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আওতায় ১২টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ঋণ বিতরণের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান প্রধান অতিথি ছিলেন। ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান চুক্তি করে।

চুক্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক এবং সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, আনসার ভিডিপি ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডর প্রধান নির্বাহীরা সই করেন। অনুষ্ঠানে গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, দেশে দুধের মোট চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ উৎপাদন হয়। বাকি ৮০ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আমদানিনির্ভরতা কমাতে সরকার ক্ষুদ্র প্রান্তিক খামারিদের ঋণ তহবিল ২০০ কোটি টাকার মাধ্যমে ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, সৃজনশীল এ প্রকল্পের শতভাগ বাস্তবায়ন হলে দেশ দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে এবং মানুষের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হবে। এ ঋণ বিতরণ করতে প্রকৃত ও নারী খামারিদের অগ্রাধিকার দেয়ার নির্দেশ দেন গভর্নর। তিনি বলেন, এতে নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান বাড়বে। আতিউর রহমান বলেন, সম্ভাবনাময় এ প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে পরে বাজেট আরও বাড়ানো হবে। টেকসই অর্থায়নের অংশ হিসেবে উৎপাদনশীল খাতে টাকা দিচ্ছে সরকার। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য উন্নয়নমুখী কর্মতৎপরতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। সভাপতির বক্তব্যে ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, প্রতি বছর ৪০০ কোটি টাকার দুধ আমদানি করতে হয়। প্রকৃত খামারিদের ঋণ দেয়া হলে দুধের সংকট ক্রমেই কমে আসবে। আমদানিনির্ভরতাও কমবে। এজন্য কৃত্রিম প্রজনন ও গাভী পালনকারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ ঋণ দিতে হবে। প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশ দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সোনালী, জনতা, রূপালী, আনসার ভিডিপি, আইএফআইসি ব্যাংক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

গাভী পালন, গাভী ক্রয় ও কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে শংকর জাতের গাভী পালনের জন্য বিদ্যমান ঋণ সুবিধার পাশাপাশি এ খাতে অধিকতর ঋণপ্রবাহ নিশ্চিত করতে ৫ বছর মেয়াদি (নবায়ন-আবর্তন যোগ্য) ঋণ বিতরণ করবে ব্যাংকগুলো। একজন গ্রাহক ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। চলতি মাস থেকেই এ ঋণ বিতরণ শুরু হবে।

সুত্রঃ mzamin.com/details.php?mzamin=OTExMzQ=&s=Nw==

আপনার কৃষি সহায়তা আপনার এলাকাতেই।
কৃষি, মৎস্য চাষ, পোল্ট্রি, গবাদি পশু পালন, এবং পশু পাখির প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কিত যত তথ্য, জিজ্ঞাসা, কখন কোথায় কি হচ্ছে, কোন ঋতুতে কি ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব, কি কি ধরনের পূর্ব সতর্কতা নিতে হবে প্রভৃতি সকল বিষয়ে আমারা চেষ্টা করব আপনাদের জানাতে। আপনারাও পছন্দ মত বিষয়ে জানতে চাইতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব স্থানীয় ভাবে বিশেষজ্ঞ সহায়তা প্রদান করতে।
আপনাদের একজনের অংশগ্রহণই হয়ত অন্যজনকে সাহায্য করবে কৃষি সফল খামারি হতে।
ধন্যবাদ