জৈব সার ব্যবহারের উপকারিতা

ক্ষেতখামার - এর ছবি দরকার।ক্ষেতখামার - এর ছবি দরকার।

যে মাটিতে জৈব পদার্থ বেশি থাকবে সেই মাটির উৎপাদন খমতাও বেশি হবে। সুতরাং যথা সম্ভব অধিক হারে জৈব সারের ব্যবহার প্রচেষ্টা চালান উচিৎ।

  1. বাংলাদেশের মাটিতে ২% এর কম জৈব পদার্থ রয়েছে যদিও তা ৩%-৫% থাকা উচিৎ। তাই মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমান বৃদ্ধির জন্য জৈব সার ব্যবহার করা উচিৎ।
  2. মাটি গঠন ও গুনাগুন উন্নত করে। বেলে মাটি সরস হয়। তাছাড়া এঁটেল মাটিকে কিছুটা দোআঁশ মত করে ফসল উৎপাদনের অধিক উপযোগী করে তোলে।
  3. জৈব সার ব্যবহারের পর গাছের প্রয়োজন অনুযায়ি অনেকদিন ধরে গাছ খাদ্য উপাদান গ্রহন করতে পারে। জমিতে প্রয়োগের পর আনুমানিক ৬-১৮ মাস পর্যন্ত এর প্রভাব থাকতে পারে যা পরবর্তি ফসলে কাজে লাগে।
  4. জৈব সার ব্যবহারে মাটির উপকারী জিবানুর কার্য্যকলাপ বেড়ে যায় এবং এদের বংশ বিস্তারেও তা সহায়ক হয়।
  5. এ সার গ্রিষ্মকালে মাটিতে তাপমাত্রা কমিয়ে দেয় এবং শিতকালে মাটিকে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে। এতে সব ঋতুতেই গাছের শিকড় বৃদ্ধি পায়।
  6. এ সার মাটিতে রস মজুদ রাখতে সহায়তা করে। ফলে অধিক সেচের প্রয়োজন হয় না।
  7. মাটিতে কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের অধিক ব্যবহারের কোন বিষাক্ত পরিবেশের সৃষ্টি হলে জৈব সার তা কমাতে সাহায্য করে। জৈব সার বেশি ব্যবহারে মাটির কোন ক্ষতি হয় না।
  8. জৈব সার রাসায়নিক সারের কার্য্য কারিতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং জৈব সার ব্যবহার করলে আনুপাতিক হারে রাসায়নিক সারের মাত্রা কমান যায়।
  9. জৈব সার ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে গুনগত মান বাড়ায় এবং গুদাম জাত ও শস্য সংরক্ষনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

আপনার কৃষি সহায়তা আপনার এলাকাতেই।
কৃষি, মৎস্য চাষ, পোল্ট্রি, গবাদি পশু পালন, এবং পশু পাখির প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কিত যত তথ্য, জিজ্ঞাসা, কখন কোথায় কি হচ্ছে, কোন ঋতুতে কি ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব, কি কি ধরনের পূর্ব সতর্কতা নিতে হবে প্রভৃতি সকল বিষয়ে আমারা চেষ্টা করব আপনাদের জানাতে। আপনারাও পছন্দ মত বিষয়ে জানতে চাইতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব স্থানীয় ভাবে বিশেষজ্ঞ সহায়তা প্রদান করতে।
আপনাদের একজনের অংশগ্রহণই হয়ত অন্যজনকে সাহায্য করবে কৃষি সফল খামারি হতে।
ধন্যবাদ