জৈব সার ব্যবহারের উপকারিতা
প্রকাশিত : 3:34 pm, January 22, 2014 লেখক :
যে মাটিতে জৈব পদার্থ বেশি থাকবে সেই মাটির উৎপাদন খমতাও বেশি হবে। সুতরাং যথা সম্ভব অধিক হারে জৈব সারের ব্যবহার প্রচেষ্টা চালান উচিৎ।
- বাংলাদেশের মাটিতে ২% এর কম জৈব পদার্থ রয়েছে যদিও তা ৩%-৫% থাকা উচিৎ। তাই মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমান বৃদ্ধির জন্য জৈব সার ব্যবহার করা উচিৎ।
- মাটি গঠন ও গুনাগুন উন্নত করে। বেলে মাটি সরস হয়। তাছাড়া এঁটেল মাটিকে কিছুটা দোআঁশ মত করে ফসল উৎপাদনের অধিক উপযোগী করে তোলে।
- জৈব সার ব্যবহারের পর গাছের প্রয়োজন অনুযায়ি অনেকদিন ধরে গাছ খাদ্য উপাদান গ্রহন করতে পারে। জমিতে প্রয়োগের পর আনুমানিক ৬-১৮ মাস পর্যন্ত এর প্রভাব থাকতে পারে যা পরবর্তি ফসলে কাজে লাগে।
- জৈব সার ব্যবহারে মাটির উপকারী জিবানুর কার্য্যকলাপ বেড়ে যায় এবং এদের বংশ বিস্তারেও তা সহায়ক হয়।
- এ সার গ্রিষ্মকালে মাটিতে তাপমাত্রা কমিয়ে দেয় এবং শিতকালে মাটিকে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে। এতে সব ঋতুতেই গাছের শিকড় বৃদ্ধি পায়।
- এ সার মাটিতে রস মজুদ রাখতে সহায়তা করে। ফলে অধিক সেচের প্রয়োজন হয় না।
- মাটিতে কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের অধিক ব্যবহারের কোন বিষাক্ত পরিবেশের সৃষ্টি হলে জৈব সার তা কমাতে সাহায্য করে। জৈব সার বেশি ব্যবহারে মাটির কোন ক্ষতি হয় না।
- জৈব সার রাসায়নিক সারের কার্য্য কারিতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং জৈব সার ব্যবহার করলে আনুপাতিক হারে রাসায়নিক সারের মাত্রা কমান যায়।
- জৈব সার ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে গুনগত মান বাড়ায় এবং গুদাম জাত ও শস্য সংরক্ষনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
অন্যান্য সংবাদঃ
সংবাদ পাতাঃ
কৃষি